২০১৮ সালে জাতীয় সড়কে আন্ডারপাসের অনুমোদন হওয়া সত্ত্বেও আচমকাই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে আন্ডারপাস সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হতেই শতশত গ্রামবাসীর ক্ষোভ আছড়ে পড়ল। শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গলসির মথুরাপুরে। শনিবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হল সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের মথুরাপুরে।
শনিবার গলসির মথুরাপুরে আন্ডারপাসের দাবিতে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী জয়দেব কর্মকার, অনিরুদ্ধ সাহা প্রমুখরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গলিগ্রাম, ভাসাপুর, মথুরাপুর এই তিনটি গ্রামের মোড়ে আন্দোলনের জেরে দীর্ঘ কয়েকমাস সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হয়ে ছিল। এরপর কয়েকদিন আগে মথুরাপুর ও গলিগ্রামে রাস্তার পাশে নালা তৈরির কাজ শুরু করে সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ঠিকা সংস্থা। আচমকা গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, মথুরাপুরের আন্ডারপাসটি সরিয়ে গলিগ্রাম-গুসকরা মোড়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এতেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে মথুরাপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে। তাঁরা জানিয়েছেন, বাকি সব জায়গার মতো তাঁদের মোড়ের আন্ডারপাসটিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবার আগে গ্রামের মোড়ে আন্ডারপাসের কাজ শুরু করতে হবে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই ১৯নং জাতীয় সড়কের দু’ধারেই রয়েছে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ প্রাণ হাতে নিয়ে এই জাতীয় সড়ক পারাপার করেন। এর ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এখানে আন্ডারপাসের অনুমোদন হওয়ার পর কেন তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে – এটা তাঁরা মানতে পারছেন না। যদি তাঁদের দাবি না মেটে তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দফায় দফায় জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে, এদিন সকালে গ্রামবাসীদের এই বিক্ষোভের জেরে কাজের সাইট ছেড়ে চলে যান ঠিকা সংস্থার শ্রমিকরা। এই বিক্ষোভের জেরে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়।