সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভার পর বর্ধমান শহর লাগোয়া আলিশা দাসপাড়ায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাসপাড়ায় গিয়ে সেখানে শম্ভু রুইদাসের বাড়ির দাওয়াতে বসে চা-ও খান তিনি। চা খেতে খেতেই তিনি পাড়ার মহিলাদের কাছ থেকে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। গ্রামের মহিলারা অভিযোগ করেন, তাঁরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনকি রাস্তাঘাট, ড্রেন, পানীয় জলেরও অভাব রয়েছে। গ্রামের কয়েকজন মহিলা বাংলা আবাস যোজনায় বাড়়ি, প্রতিপালনের জন্য ছাগল, হাঁস-মুরগীও চেয়ে বসেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তৎক্ষণাত মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরই পাশাপাশি তাঁর সফর সঙ্গী রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে ওই পরিবারগুলোর দাবি মেনে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই তাঁদের হাতে ছাগল, হাঁস, মুরগী দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার বিকেলে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দাসপাড়ার ১২টি পরিবারের মধ্যে ১০টি পরিবারের হাতে তুলে দিলেন একটি করে ছাগল এবং পরিবার পিছু ৫ টি করে হাঁস ও মুরগী। বাকি দুটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় হাঁস ও মুরগী। এছাড়াও পাশের কুমোড়পাড়া এবং জামতলার মোট ১৩টি পরিবারের হাতেও এদিন হাঁস ও মুরগী তুলে দেন স্বপনবাবু। এদিন তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এদিন বিকালের মধ্যেই যেন এই পরিবারগুলোর হাতে পৌঁছে যায় ছাগল এবং হাঁস-মুরগী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এদিন দাস পাড়ার মোট ১২টি পরিবারের হাতেই এই সরকারী সহায়তা তুলে দিলেন। তবে কেবল দাসপাড়াই নয়, আশপাশের পাড়াগুলিতেও যাঁরা ছাগল ও হাঁস-মুরগী পালনে আগ্রহ দেখাবেন তাঁদের হাতেও তা তুলে দেওয়া হবে। এদিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রবীর চট্টোপাধ্যায়, সদর মহকুমা শাসক (উত্তর) পুষ্পেন সরকার, বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, বর্ধমান ২-এর বিডিও অদিতি বসু প্রমুখ।