বাবা মৃত্যুঞ্জয় কুমারের ইসিএলে চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ। তার আগেই ছেলে মুকেশ কুমার বাবার রহস্যমৃত্যুকে আকস্মিক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ মৃত মৃত্যুঞ্জয়বাবুর ছেলেকে আটক করল।
জানা গেছে, ইসিএল কর্মী মৃত্যুঞ্জয় কুমারের চাকরির মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ইসিএলের নিয়ম অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকের মৃত্যু হলে পরিবারের একজন চাকরি পাবেন। মৃত্যুঞ্জয়বাবু পাণ্ডবেশ্বরের কুমারডিহিতে কর্মরত ছিলেন। ওসিপি কলোনিতে থাকতেন। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দুই ছেলে। এক ছেলে মিথিলেশ কর্মসূত্রে পাটনায় থাকেন। আর এক ছেলে মুকেশ বাবার সঙ্গেই কুমারডিহির ওসিপি কলোনিতে থাকেন। হঠাৎ করে বুধবার রাতে টিলাবনি এলাকা থেকে আহত অবস্থায় মৃত্যুঞ্জয়বাবুকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ছেলে মুকেশ বাঁকোলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, মৃত্যুঞ্জয়বাবুর মাথার পিছনে গভীর ক্ষত চিহ্ন ছিল। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় মুকেশকে আটক করে। বৃহস্পতিবার এই খবর চাউর হতেই ওই মৃত্যু যে নিছক দুর্ঘটনা সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারা। পড়শীদের সন্দেহ ইসিএলের চাকরির লোভেই ছেলে মুকেশ কুমার বাবা মৃত্যুঞ্জয় কুমারকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে পথ দুর্ঘটনার তত্ব খাড়া করেছে। অভিযুক্ত মুকেশ বাবাকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন পথ দুর্ঘটনায় স্কুটি থেকে পড়ে গিয়ে বাবার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। মুকেশের ভাই মিথিলেশও ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মিথিলেশের দাবি বাবার সঙ্গে ভাই মুকেশ একই বাড়িতে থাকত। বাবার সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল। তাই ভাই বাবাকে খুন করবে এই ভাবনা অমূলক। পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ সমস্ত সন্দেহ দূরে সরিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর রহস্যময় মৃত্যুর কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে। দুর্গাপুরের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, মৃতের ছেলে মুকেশ কুমারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।