মঙ্গলবার পার্ট-১ ও পার্ট-২ পরীক্ষায় পাশ না করলেও পার্ট-৩ পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যের কাছে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন মোট ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জুলফা খাতুন জানিয়েছেন, এবছর পার্ট-১ ও পার্ট-২-এর জেনারেল ও অনার্সের রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় এবং ইতিমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীরা পার্ট-২ এবং পার্ট-৩-এর ক্লাস করতে শুরু করায় চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এদিন তাই উপাচার্য্যের কাছে তাঁরা এব্যাপারে সুষ্ঠ সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট-২-এর জেনারেল ও অনার্সের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। গতবছর মে-জুন মাসে পরীক্ষার পর প্রায় ৯ মাস পর রেজাল্ট প্রকাশের পর দেখা যায় পাশ কোর্সে কৃতকার্যের হার মাত্র ১৭.৯১ শতাংশ। অনার্সের ক্ষেত্রে মোট পাশের হার ৫৩.৪২ শতাংশ। বিশেষত, জেনারেল কোর্সের এই ফলাফলকে ঘিরে শুরু হয় তীব্র আলোড়ন। কারণ ফলাফল প্রকাশে দেরী হওয়ায় ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীরা পার্ট-৩-এর ক্লাস করা শুরু করে দেয়। ফলে এখন তারা কি করবেন তা নিয়ে রীতিমত দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জুলফা খাতুন জানিয়েছেন, এদিন তারা উপাচার্য্যের কাছে দাবি জানিয়েছেন, আন্ডার গ্রাজুয়েট পার্ট-৩ এর রেজাল্ট ১৫ জুলাই ২০১৮ -র মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। তার আগেই পার্ট-১ ও পার্ট-২-এর রিভিউ রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী পার্ট টু-এর বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেখানেও ফলাফল আশাব্যঞ্জক ছিল না। অনার্সে ৪৪ শতাংশ এবং জেনারেলে ৩০ শতাংশ পাশ করে। এমনকি গতবছর ডিসেম্বর মাসে কলা বিভাগের পার্ট-১-এর ফলাফলে জেনারেল কোর্সে পাশের হার মাত্র ১২.০৪ শতাংশ। পার্ট-১-এর ওই ফলাফলের পর প্রায় ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী রিভিউয়ের জন্য আবেদনও করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।