ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। ফের প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় জখম আরও তিনজন। কেতুগ্রামের মার গ্রামের ঘটনা। সারা রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। গতকালই বর্ধমান জেলায় চার জনের প্রাণ যায়, আজ আরও এক জনের প্রাণ গেল। কেতুগ্রামের আগরডাঙ্গা পঞ্চায়েতের সদস্য শ্রীনিবাস ঘোষকে (৪৮) লাঠি, রামদা দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে শ্রীনিবাস ঘোষ রাস্তায় একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্রীনিবাস ঘোষের। ওই পথ দিয়ে সেই সময় ফিরছিলেন চন্দ্রশেখর ঘোষ, সাগর ঘোষ, তরুণ ঘোষরা। তাঁদের উপরও দুষ্কৃতীরা আঘাত হানে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর চন্দ্রশেখর ঘোষের একটি আঙুল বাদ যায় এবং অবস্থার অবনতি হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। সাগর ঘোষ ও তরুণ ঘোষ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মার গ্রামের ৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি প্রায় ৩০০ ভোটে এগিয়ে আছে। তাই তাদের এত বাড়বাড়ন্ত। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে মার গ্রামে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। শ্রীনিবাস ঘোষের দেহ নিয়ে আসা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক ও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।