আসানসোলে বারাবনির মাজিয়াড়াতে প্রচারে গেলে বাবুল সুপ্রিয়র উপর হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। পাল্টা বারাবনির তৃণমূল উপপ্রধানকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের। এক্ষেত্রে অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে।
শুক্রবার বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের বারাবনিতে প্রচারে বেরিয়ে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করেন। এরপর কালিকমলি গ্রামে একটি জায়গায় অবৈধ কয়লার খাদান দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বাবুল এবং তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মদতে এই অবৈধ কারবার চলছে।’ এই প্রসঙ্গে বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বারাবনির মাজিয়াড়াতে প্রচারে গেলে সেখানে বচসা থেকে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় বলে জানা গেছে। বাবুলের আভিযোগ, মাজিয়াড়াতে প্রচারের শেষ পর্বে হঠাৎই একটি জীপ তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে এবং আরোহীরা মদ্যপ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী এবং বাবুল সুপ্রিয়র নামে গালাগাল দিতে থাকে। সেই জিপে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় উপপ্রধান সহ আরও এক নেতা ছিলেন।’ অভিযোগ, এরপর উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা তাঁদের ধরে ফেললে বচসা থেকে হতাহাতি শুরু হয়। তাতেই আহত হন তৃণমূল উপপ্রধান।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বরাবনির উপপ্রধান গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগানো ছিল। রাস্তায় বাবুলের সমর্থকরা লাঠি দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন সহ অন্যান্যরা। শুক্রবার রাতের ঘটনায় বারাবনি থানার পুলিশ পাঁচ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর শনিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘প্রচারের সময় গন্ডগোল পাকাতে বারবার তাঁর আশপাশে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও কোন লাভ হয় নি। বারাবনির ঘটনায় বেছে বেছে তাঁদের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ সেখানে যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা ঝামেলা করল তাঁদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’ এদিন পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবি করে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন বাবুল সুপ্রিয়।