গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণে একাধিক শিশুর মৃত্যুর খবরে ক্রমশই যখন সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার হাসপাতালে এলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী তথা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ।
অ্যাডিনো ভাইরাসের মোকাবিলায় বর্ধমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা এদিন খতিয়ে দেখেন স্বপনবাবু। বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সুপার ও শিশুবিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। গত সোমবারই দুই শিশুর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স একমাস ও আর একজনের চারমাস। অপুষ্টি, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য রোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. কৌস্তভ নায়েক। যদিও সঠিক কি কারণে মৃত্যু তা নিশ্চিত হতে তাদের লালারসের স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগে মোট বেডের সংখ্যা ১৮৬। ভর্তি আছে ২০৬ জন। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ শিশু ভর্তি আছে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে। বেড সংখ্যা কম থাকায় বেশ কিছু বেডে ২ জন করে শিশু ভর্তি আছে। যাতে ইনফেকসন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রত্যেক বেডে একটি করে শিশু রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বর্ধমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো হচ্ছে আরও ৪৮ টি বেড। পাশাপাশি জরুরী বিভাগের পাশে খোলা হচ্ছে আরও একটি ফিবার ক্লিনিক। রোগী সংখ্যা বাড়লে চাপ সামাল দেওয়ার জন্য আরও কিছু যন্ত্রপাতি চেয়ে স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি লিখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন স্বপনবাবু জানিয়েছেন, হাসপাতালে সতর্কতামূলক সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে নতুন ২টি ওয়ার্ড খোলা হয়েছে তা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। চিকিৎসার কোন ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এদিন জানিয়েছেন, বর্তমানে শিশু ভর্তির সংখ্যা আস্তে আস্তে কমছে। এখন গড়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে।