বিবাহ বহির্ভূত সর্ম্পকের সন্দেহে স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের গলসির সাঁকো গ্রামে। মৃতার নাম শৈবা মাঝি (২৬)। অভিযুক্ত প্রদীপ মাঝিকে গলসী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় নয় বছর আগে গলসির কুতরুকি গ্রামের তরুণী শৈবার সঙ্গে বিয়ে হয় সাঁকো গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপের। তিনি স্থানীয় একটি হ্যাচারিতে কাজ করেন। ৬ বছরের সত্যম মাঝি নামে তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও আছে। মৃতার বাবা জয়দেব আঁকুড়ের অভিযোগ, জামাই প্রদীপ মাঝি, শ্বশুর কার্তিক মাঝি ও শাশুড়ী চিনু মাঝি মিলিতভাবে তাঁর মেয়েকে গলা টিপে খুন করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রদীপ শৈবাকে সন্দেহ করছিল। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদও চলছিল। শনিবার পাড়ার মহিলাদের নিয়ে ঝুলন উপলক্ষ্যে মেলাও দেখতে যায় শৈবা। এরপর বাড়ি ফিরে আসতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। এদিন ৬ বছরের সত্যম মাঝি পুলিশকে জানিয়েছে, বাবা মায়ের গলা টিপে ধরার পর মায়ের মাথা হেলে যায়। এরপর বাবা মা-কে ছেড়ে দিলে মা মেঝেতে ধপাস করে পরে যায়। তারপরই বাবা একটি গলায় দড়ি দিয়ে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝোলার চেষ্টা করে। এই সময় সে দরজার খিল খুলে পাশের ঘরে দাদু-দিদিমাদের ডেকে আনে। তাঁরাই প্রদীপ মাঝিকে উদ্ধার করে। এদিকে, এই ঘটনার পর প্রদীপ মাঝি নিজেই শোকগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি মারতে চাননি। কিভাবে কি ঘটে গেল তা তিনি বুঝতে পারছেন না। এই ঘটনায় ভয় পেয়েই তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। অপরদিকে, এই ঘটনার পরই এলাকার মানুষ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ কারককে সমস্ত ঘটনা জানান। সুবোধবাবু জানিয়েছেন, অবৈধ সর্ম্পকের সন্দেহের জেরে এদিন ভোরে প্রদীপ মাঝি স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়ির লোক দেখে ফেলায় তিনি বেঁচে যান। এরপর প্রতিবেশীরা গলসি থানায় খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্তকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে।
Like Us On Facebook