রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি করতে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। গত ৭ বছরে কতটা হয়েছে সেই উন্নয়ন? কতটা সেই উন্নয়ন পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে কিংবা সাধারণ মানুষ কি বলছেন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে – এসব জানতে মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি চালু করেছেন এক্সচেঞ্জ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা পৌঁছে যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। কোথায় কি ধরণের অসুবিধা সরাসরি তাঁরা শুনছেন একেবারে তৃণমূল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অন স্পট বা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
আর মুখ্যমন্ত্রীর এই এক্সচেঞ্জ প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবেই শনিবার বর্ধমানে বৈঠক করে গেলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন সচিবরা। হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। হাজির ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত পদস্থ আধিকারিকরাও। মোট দেড়ঘন্টার সেশন চলে। তারমধ্যে একঘন্টা ব্যয় করা হয় বিভিন্ন ব্লক মেডিকেল অফিসার, নার্স, চিকিৎসকদের পরামর্শে। স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের সে ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে তাঁরা তুলে ধরেন এদিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের কাছে। রাজীব সিনহা এদিন বলেন, করছি করব কিংবা হচ্ছে হবে – এমনটা আর চলবে না। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ ঠিকমত চিকিৎসা পেতেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি সমস্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কিন্তু কতটা পৌঁছাচ্ছে সেই পরিষেবা। কোথায় কি শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে তা যাচাই করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই এক্সচেঞ্জ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।