সাপের কামড়ের পর ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন, এরপর মৃত এই ছাত্রীকে নিয়ে দেড় দিন ধরে চলে টানা হ্যাচড়া, মৃত ছাত্রীকে বাঁচিয়ে তুলতে কখনোও ওঝার বাড়িতে ঝাড়ফুঁক, আবার কখনো মৃত ছাত্রীর বুকে বাইবেল রেখে যিশুর কাছে প্রাণভিক্ষার প্রার্থনা, এইভাবে দেড় দিন পর মৃতদেহ ফুলে পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে কুসংস্কারে গ্রাস করা মানুষগুলো বুঝতে পারেন ছোট্ট কবিতা আর নেই। এরপর পচা-গলা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসেন। কালনার অকালপৌষ এলাকার ঘটনা।
গত মাসের ২৯ তারিখে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাম পায়ে বিষধর সাপের ছোবল মারলে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কালনার অকালপৌষ অরবিন্দ প্রকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী কবিতা মুর্মুকে। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাতে বিশ্বাস হয়নি কবিতার আত্মীয়-পরিজনদের। তাঁরা মৃতদেহে প্রাণ ফিরে পেতে কবিতাকে নিয়ে এক ওঝার বাড়িতে যান। সেখানে চলে ঝাড়ফুঁকের নানা কেরামতি। এইভাবে দেড় দিন কেটে গেলেও নিথর দেহে প্রাণ ফেরেনি। এদিকে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় কবিতার মৃতদেহে পচন ধরতে শুরু করে। দেহ ফুলে-ফেঁপে পচা দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে মৃতদেহ নিয়ে কালনা হাসপাতালে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?