আবার ভাগচাষি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। মৃত ভাগচাষির নাম সুকুমার রুইদাস (৪০)। বাড়ি গলসি থানার নবগ্রামে। মৃতের ছেলে মনচুরা রুইদাস জানিয়েছেন, বাবা মা দুজনেই ক্ষেতমজুরের কাজ করেন। স্থানীয় এক চাষির বাড়িতে বাবা সুকুমার রুইদাস এবং মা পূর্ণিমা রুইদাস উভয়েই বাঁধাধরা দিনমজুরের কাছ করেন। এবছর সুকুমারবাবু ভাগে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করতে চান। কিন্তু মা পূর্ণিমা রুইদাস এই চাষ করতে সুকুমারবাবুকে নিষেধও করেন। কিন্তু মায়ের নিষেধ না শুনে সাড়ে তিনবিঘে জমিতেই বোরো চাষ করেন সুকুমারবাবু। কিন্তু এবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। মনচুরা জানিয়েছেন, এই চাষ করতে মোটা টাকা ধারও নেন সুকুমারবাবু। এছাড়াও সার, বীজ, জলেও ধার ছিল। জমির মালিককেও কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিছু বাকিও ছিল। সবমিলিয়ে মোট প্রায় ১২ – ১৫ হাজার টাকা ধার ছিল। বাজারে এই দেনার জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সুকুমারবাবু। তার জেরেই সোমবার বিকালে বিষ খান তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Like Us On Facebook