চলে গেলেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। সোমবার সকালে কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর মৃত্যুর খবর গলসির পুরষা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতেই সেখানকার ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁরা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না সেই দিনটি যেদিন বোলপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে পারাজের কাছে সোমনাথবাবুর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ছুটে আসেন এই পুরষা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

দিনটি ছিল ২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর। সোমনাথবাবু স্ত্রী রেণুকাদেবীকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুর থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। পানাগড় পেরিয়ে পারাজের কাছে রেণুকাদেবীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেন। তারপর তাকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। তখন পুরষা হাসপাতালে ইসিজি যন্ত্র, জেনারেটর সহ অনেক যন্ত্রপাতিই ছিল না। ২০০৯ সালে ১৩ জানুয়ারি, সপরিবারে সোমনাথবাবু ফের আসেন পুরষা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। একটি জেনেরেটর এবং রক্তে শর্করা মাপার গ্লুকোমিটার যন্ত্র। তখন বিএমওএইচ ছিলেন ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস। সেই স্মৃতি আঁকড়ে আজ মন খারাপ পুরষা হাসপাতালের ডাক্তার থেকে কর্মীদের। সোমনাথবাবু নেই এটা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না।

Like Us On Facebook