পৃথিবীর উন্নত দেশগুলিতে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সেলিং-এর জন্য রয়েছেন একজন করে সাইকোলজিষ্ট। আর এর ফলে প্রথাগত তথা ধারাবাহিক শিক্ষার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সামগ্রিক উন্নতি ঘটছে। জার্মানি, চিন সহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ধরণের সাইকোলজিষ্ট শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল রীতিমত আশাব্যঞ্জক বলে জানালেন জার্মানির ইণ্টারন্যাশনাল স্কুল সাইকোলজিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র স্কুল সাইকোলজিষ্ট ড. এরিকা ই ভোগট। সোমবার বর্ধমানের কলেজ অব এডুকেশনে এক সেমিনারে যোগ দিতে আসেন তিনি। এছাড়াও হাজির ছিলেন ইণ্ডিয়ান স্কুল সাইকোলজির প্রেসিডেণ্ট প্রফেসর বনবিহারী মুখোপাধ্যায়, বর্ধমানের কলেজ অব এডুকেশনের অধ্যক্ষ ড. দিলীপ কুমার ঠাকুর, কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক সুজিত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
সেমিনারের উদ্বোধন করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য ড. ষোড়শী মোহন দাঁ। অধ্যাপক বনবিহারী মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, ১৯৯০ সাল থেকেই ড. এরিকা ভারতবর্ষ সহ বিভিন্ন দেশে স্কুল শিক্ষায় সাইকোলজির অবদান নিয়ে কাজ করছেন। তিনিই তাঁকে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই ডাকেই তিনি এদিন বর্ধমানে এসেছেন। ড. এরিকা এদিন বলেন, স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিটি স্কুলে স্কুলে একজন করে সাইকোলজিষ্ট নিয়োগ করা উচিত। এব্যাপারে অর্থ কোন সমস্যা নয়। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, তিনি বিভিন্ন দেশে দেশে ঘুরেছেন। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। সমাজজীবনে বিভিন্ন প্রভাব যার ফলে ব্যক্তির পূর্ণ বিকাশ আটকে যাচ্ছে সেগুলিকে দূর করতে সাইকোলজিষ্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।