দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে বৃস্পতিবার দুর্গাপুরের রাজনৈতিক আবহ উত্তপ্ত হয়ে পড়ল। কোথাও শাসক-বিরোধী আবার কোথাও শাসক দলের কোন্দলে শান্ত দুর্গাপুর অশান্ত হয়ে পড়ল। বৃস্পতিবার সকালে এমএএমসির বি১ মোড়ে সিপিএমের পথ অবরোধে তৃণমূলের হামলা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঝামেলা মিটতে না মিটতেই ২৪ নং ওয়ার্ডের গণতন্ত্র পল্লীতে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলী দুই কর্মীকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সভায় যাওয়ার জন্য মারধর করার অভিযোগ উঠল। ওই দুই তৃণমূল কর্মীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অশান্ত হয়ে উঠে ২৪ নং ওয়ার্ডের গণতন্ত্র পল্লী।

এর পর ফের এমএএমসির বি১ মোড়ের সকালের তৃণমূল ও সিপিএমের সংঘর্ষের সূত্র ধরে এক সিপিএম কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই দুর্গাপুরের বিধান নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্বে একটি পার্টি অফিসের জিনিষ পত্র ভাঙচুর করে অপর গোষ্ঠী বলে অভিযোগ। অশান্ত হয় দুর্গাপুরের বিধান নগর। পুলিশ অবস্থার সামাল দেয়। দিনভর বিভিন্ন ঘটনার পর রাতে সিপিএমের দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আশীষ জব্বর দলীয় অফিসটি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন সিপিএমের নেতারা। ভোটের মুখে শান্ত দুর্গাপুর হঠাৎ অচেনা চেহারায় আত্মপ্রকাশ করায় শিল্প শহরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার সিপিএমের দায়ের করা এক মামলার রায় ঘোষণা করে। এই রায়ে বলা হয়েছে, বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়া যাবে না। পৌর নির্বাচনে মানুষ যাতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ করতে এবং পৌর নির্বচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে মানুষ এখন পুলিশেরই মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে।

Like Us On Facebook