কেশ বাড়ির শহীদ দিবসের দিনেই বেদী ভেঙে ফেলল শহীদ পরিবারেরই সদস্য। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বিল্বগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ২ জুলাই বিল্বগ্রাম অঞ্চলে বেলাড়ীগ্রামের কেশ পাড়ায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন কেশ পরিবারের তিন সদস্য কমলাকান্ত কেশ, অসীম কেশ ও অশোক কেশ। সেই সময়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি শহীদ বেদী তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবছর ২ জুলাই কেশবাড়ি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো ও শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শহীদ দিবস পালন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। শুক্রবার সকালে হঠাৎই কেশ পরিবারের সদস্য অনন্ত কেশ শাবল দিয়ে সেই শহীদ বেদী ভেঙ্গে ফেলেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
কেশ পরিবারের সদস্য অনন্ত কেশের দাবি, শহীদ বেদীর সম্মান দেওয়া হয় না। শহীদ বেদীর নীচে চায়ের কাপ ফেলা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে নানাভাবে আমার উপর অত্যাচার করা হয়। তাই ক্ষোভে আমি এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।
অন্যদিকে, বিল্বগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফাল্গুনী গোস্বামী জানিয়েছেন, দলের কোন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলে দলগতভাবে মিটিয়ে নেওয়া যেত। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। দল কেশ পরিবারের সদস্যদের যথার্থ সম্মান দিয়েছে। আজকের এই ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দলগতভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
<