গত ২২ অগস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বর্ধমানের টাউনহলে শুরু হয়েছে নবম প্রাকপুজা তাঁতবস্ত্র মেলা। আর সেই মেলায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নন্দদুলাল বসুর স্মৃতি বিজড়িত সহজপাঠ। বাংলার তাঁতের সুনাম পৃথিবী জোড়া। সকলের পছন্দের এই তাঁতকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে শিল্পীরা সদা ব্যস্ত। তাই কখনও অত্যাধুনিক ডিজাইন তো কখনও কন্যাশ্রী শিল্পীর ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে শাড়িতে।
এবার তারই নবতম সংযোজন সহজ পাঠ। বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে যার অবদান অনস্বীকার্য। যা বাংলার আপামর মানুষকে আজও করে তোলে নস্টালজিক। সেই সহজ পাঠেরই নন্দদুলাল বসুর আঁকা বিভিন্ন ধরণের ছবিগুলিই তুলে ধরা হয়েছে তাঁতের শাড়িতে।
নেপথ্যে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বারুইপাড়ার পৌষালী নামে এক বুটিক সংস্থার শিল্পীরা। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার মিলন রায় জানিয়েছেন, বাংলা ও বাঙালীর পুরানো দিনের সেই ঐতিহ্য ও নস্টালজিয়াকে নবরূপে নতুনদের কাছে তুলে ধরা ও নতুন করে সকলে যাতে সেই স্কুলের দিনগুলির স্মৃতি রোমন্থনে হারিয়ে যেতে পারেন সেই লক্ষেই এই উদ্যোগ। এখনও পর্যন্ত ভাল সাড়া পেয়েছি। আশা করি পুজোর আগে আরও সাড়া মিলবে। শাড়ির দাম ১০৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। যা মধ্যবিত্তের হাতের নাগালেই। অন্যদিকে শাড়ি কিনতে এসে আবেগ তাড়িত হয়ে সহজ পাঠে মুগ্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে পুজোর বাজারে শাড়ির একটাই নাম সহজ পাঠ।