একই দিনে দু’বার সড়ক দুর্ঘটনায় ধুন্ধুমার পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি এলাকায়। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি মোড়ের কাছে ইসিএলের পরিবহণের ডাম্পারের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মহিলা জখম হন বলে অভিযোগ। এরপর এলাকার মানুষ ঘটনার প্রতিবাদে ইসিএলের পরিবহণের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পাণ্ডবেশ্বর থানা থেকে পুলিশ এসে স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, ওই এলাকা দিয়ে ইসিএলের পরিবহণের গাড়ি চলতে দেওয়া যাবে না, যতক্ষণ না এলাকার মানুষের সঙ্গে রাস্তা সারাইয়ের বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, ইসিএলের পরিবহণের গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তার বেহাল অবস্থা, নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ, কয়েক ঘন্টা পরিবহণের গাড়ি বন্ধ থাকার পর ফের গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ইসিএল পরিবহণের গাড়ি চলাচল শুরু করে দেয়।
এরপর ফের বিপত্তি শনিবারই বেলা দেড়টা নাগাদ খোট্টাডিহির ওই এলাকাতেই। খোট্টাডিহি গ্রামেরই বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ বাইক নিয়ে এলাকায় একটা অনুষ্ঠানে খেতে যাচ্ছিলেন। পাণ্ডবেশ্বরের দিক থেকে আসা ইসিএলের একটা ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর ভাবে আহত হন সোমনাথবাবু। ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছতেই উত্তেজিত জনতা ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালায় ইসিএলের পরিবহণের গাড়িগুলিতে। প্রায় আট থেকে দশটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যখন সকালবেলা দুর্ঘটনার পর কথা হয়েছিল গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার পরই পরিবহণের গাড়ি চলবে, তাও গ্রামবাসীদের কথা অবজ্ঞা করে ইসিএল তাদের পরিবহণের গাড়ি চলাচল শুরু করে দেয় এবং এর ফলেই ফের ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম হন খোট্টাডিহি গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। ঘটনায় উত্তেজনা চরম আকার নিলে পাণ্ডবেশ্বর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয় এলাকায়। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।