কড়া পুলিশি ঘেরাটোপে দুর্গাপুরের ৩৪ নং ওয়ার্ডের ৪০৪ নং বুথে বুধবার সকাল ৭টায় পৌর নির্বাচনের পুনরায় ভোট গ্রহন পর্ব শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ১৩ আগস্ট বহিরাগত তাণ্ডবে ভোট দিতে না পেরে বিজেপি কর্মীরা ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এলাকায় গুলি, বোমাবাজি ও জাতীয় সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়। গুলিতে গুরুতর আহত হয় একজন ও মারধরে আহত হয় তৃণমূলের আরও দু’জন। এলাকায় পুলিশি তল্লাশি চলে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে অশান্ত হয় কাদা রোড এলাকা। পুর্ননির্বাচনের দাবি তোলে শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওই বুথে পুর্ননির্বাচনের দিন ঘোষণা করলে বুধবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই ওয়ার্ডে বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।

বুধবার ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে সকাল থেকেই লম্বা লাইন দেখা গেল। এলাকাবাসীর ১৩ আগস্টের ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ বুধবার ভোট দিতে পেরে অনেকটাই প্রশমিত হল বলে অনেকে মনে করছেন। পুর্ননির্বাচনে ৪০৪ নং বুথে অশান্তি এড়াতে প্রশাসন আজ ওই বুথের মোট ভোটারের তিন গুণ পুলিশ বুথের বাইরে মোতায়েন করেছে। সকাল থেকেই দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি অভিষেক মোদী পদস্থ পুলিশ আধিকারীকদের নিয়ে বুথের বাইরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন ১৩ আগস্ট আমরা ভোট দিতে পারিনি। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন পুর্ননির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আজ ভোট দিতে পেরে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেলাম বলে মনে হচ্ছে।

Like Us On Facebook