চাষীদের বিকল্প চাষে উৎসাহ দিতে ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবার বিশ্বের সব থেকে দামী প্রজাতির মিয়াজাকি (miyazaki)আম চাষে উদ্যোগী হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। প্রাথমিকভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নিজস্ব ৫ টি জায়গায় এই মিয়াজাকি আম চাষ করা হবে। সেই অনুযায়ী মেমারি ডাকবাংলো, শ্রীখন্ড ডাকবাংলো, বাঁকুড়া মোড়, বর্ধমানের কৃষি খামার ও কালনায় থাকা জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় এই চাষ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, মিয়াজাকিকেই বিশ্বের সবথেকে দামী প্রজাতির আম হিসাবে ধরা হয়। যার প্রতি কেজি আম লাখ টাকারও বেশী দামে বিক্রি হয়। ১৯৭০-র দশকে জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে এই প্রজাতির আমের প্রথম চাষ হয় তাই এলাকার নাম অনুসারেই এই আমের নাম হয় মিয়াজাকি। এর অপর একটি নাম ‘এগ অফ সানসাইন’।তবে মিয়াজাকি আমের বিজ্ঞানসম্মত নাম-‘তাইয়ো-নো-টোমাগো’। দেশ-বিদেশে এই আমের পাহারায় বন্দুক হাতে নিরাপত্তা রক্ষী রাখতেও শোনা যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান, প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বাজেট স্থির করা হয়েছে। মূলত চাষীদের বিকল্প চাষে উৎসাহ যোগাতে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় এই প্রকল্পগুলি গড়ে তোলার ফলে জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্পত্তি রক্ষাও সহজতর হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের বিষয়ে রাজ্য উদ্যানপালন দপ্তর সহ জাতীয়স্তরে একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং তাদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্প এলাকাতেই সোলার পাম্প থাকবে একই সাথে প্রকল্প এলাকার সৌন্দার্যায়ন করা হবে ও সোলার লাইটও লাগানো হবে। প্রথমে এই পাঁচটি প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৩০-৪০ জনকে কাজ দেওয়া সম্ভবপর হবে।
শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানান, মিয়াজাকি আমকেই বিশ্বের সবথেকে দামী আম হিসাবে মনে করা হয়। রূপে ও গুণে এই আমের জুড়ি মেলা ভার। দেশ-বিদেশে প্রতি কেজি লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয় এই আম। আমাদের দেশের কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই এই আমের চাষ শুরু হয়েছে। সুফলও পাচ্ছেন চাষীরা, তাই বিকল্প চাষে উৎসাহ যোগাতে ও একই সঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে মিয়াজাকি আম চাষকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু মিয়াজাকি নয়, মিয়াজাকির পাশাপাশি অন্যান্য আম, গোলাপী কাঁঠাল, চার রঙের জামরুল, রঙিন কলা, তাল, বেল, আতা ও ড্রাগনফ্রুট চাষ করা হবে। তাই শস্যগোলা বর্ধমানের চাষীরা এই বিকল্পচাষেও মনোযোগ দেবেন এবং লাভবান হবেন বলেই মনে করছেন শ্যামাপ্রসন্ন লোহার।