পূর্ব বর্ধমান জেলার ২৩টি ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সার্ভে করে মিলল ৩৯১টি শিশুর অপুষ্টি। আর এরপরেই শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে জোরালো উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। এদিন থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য ‘পোষণ’ প্রকল্প চালু করছে। রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানেই প্রথম জেলা জুড়ে এই রকম প্রকল্প চালু হচ্ছে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, পোষণ প্রকল্পে এই ৩৯১টি শিশুর অপুষ্টি দূর করতে বর্ধমান জেলা পরিষদ ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। এদিন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এই শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে দিল্লির একটি কোম্পানীর তৈরি করা পুষ্টিবর্ধক একটি বিশেষ ধরণের খাবার (রেডি টু ইউজ থেরাপটিক ফুড বা আরইউটিএফ) তাঁরা আগামী ৬ মাস এই শিশুদের বিতরণ করবেন।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেই তাঁদের এই বিশেষ ধরণের খাবার সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দেওয়া হবে। এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু শিশুদের অপুষ্টির ক্ষেত্রে মায়েদেরও একটি ভূমিকা থাকে তাই মায়েদের জন্য কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগা শিশুদের পাশাপাশি তাঁরা অপুষ্ট শিশুর মায়েদেরও পৃথকভাবে খাবারের বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পরিবারের আয়ের উৎস বাড়াতে তাদের বিনামূল্যে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ফলের গাছ। এছাড়াও এই পরিবারগুলি যাতে কার্যতই ১০০ দিনের কাজ পায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে গোটা জেলাকে অপুষ্টি মুক্ত করতে তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।