পুজো মিটতে না মিটতেই করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে। রবিবার জেলায় মোট ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের দৈনিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে। ফলে ফের জারী করা হয়েছে নাইট কার্ফু। রবিবার রাত থেকেই জেলা পুলিশ নাইট কার্ফুর প্রচারে রাস্তায় নেমেছে। সোমবার সকালেও বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী রাস্তায় মাইক নিয়ে করোনা বিধি মেনে চলার আবেদন নিয়ে ঘুরেছেন। পথচলতি মাস্কবিহীন মানুষকে দেখলেই তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কার্যত সংক্রমণে লাগাম টানতেই এবার বর্ধমানের রাজপথে অভিযানে নামল পুলিশ। বাসিন্দাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।

অনেকেই মনে করছেন, পুজোর সময় মণ্ডপে ভিড় করোনা সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেহেতু পুজোর সময় করোনা পরীক্ষাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়েছে, তাই পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পোস্ট কোভিড বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ। গত একমাসে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়ার ৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেক শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুদের এখনও ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এরই মাঝে সোমবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল কলেজ খোলা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তা ফের মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে যাবতীয় সাবধানতার ব্যাপারে বাসিন্দাদের সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এমন অনেক দৃষ্টান্ত মিলছে। তাই এখনও পরিষ্কার করে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও জনবহুল এলাকায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের পুনরায় সচেতন করতেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।

Like Us On Facebook