গুসকরা বিট অফিসের পুলিশ শনিবার রাতে আন্তঃজেলা টোটো চুরি চক্রের মূল দুই পাণ্ডা সহ গ্রেফতার করল ৩ জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে টোটো চুরি চক্রের রিসিভার এক মহিলাও। তার নাম হালিমা বিবি (৪০)। পুলিশ তার সঙ্গে গ্রেফতার করেছে রেজাউল সেখ (২৮) নামে আরও এক পাণ্ডাকে। ধৃত দুজনের বাড়ি গলসি থানার কুরমুনে। ধৃত অপর জনের নাম কুতুবুদ্দিন মন্ডল (৪০)। বাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার তালিত এলাকায়। এরই পাশাপাশি পুলিশ উদ্ধার করেছে চুরি যাওয়া ৫টি টোটোও।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট গুসকরা বিট অফিসের পুলিশ টোটো চোর সন্দেহে দুই সন্দেহভাজন শেখ সরিফ (২৮) ও কায়েম মোল্লা(২৯)কে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বাড়ি মঙ্গলকোটের কামালপুরে। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আন্তঃজেলা টোটো চুরি চক্রের হদিশ পায়। সম্প্রতি গুসকরা পুলিশের টহলদারি ভ্যান আউশগ্রামের গোবিন্দপুরের দিকে যাওয়ার সময় সেখ সরিফ ও কায়েম মোল্লাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। পুলিশ দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তাড়া করে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। পুলিশি জেরায় তারা স্বীকার করে গুসকরা ও আশপাশের এলাকায় টোটো চুরি করতে এসেছিল। তাদের সাথে আরও ১০ জনের একটি দল রয়েছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। ছিনতাই হওয়া টোটো উদ্ধারের জন্য এবং এই চক্রে জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিশ ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। বিচারক ৫দিনের পুলিশ হেপাজত মঞ্জুর করেন। পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই এই চক্রটি টোটো চুরির সঙ্গে যুক্ত। এখনও পর্যন্ত তারা প্রায় ৫০০-রও বেশি টোটো চুরি করেছে। এছাড়াও আউশগ্রাম এলাকায় তারা বেশ কয়েকটি অন্য চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গেও যুক্ত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শনিবার হালিমা বিবিদের জেরা করে পুলিশ গোটা চক্রের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।