ভাতাড় থানার কলপুকুর পাড় এলাকার সেই মোবাইল চোর অবশেষে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন এবং ফোনের চার্জার ফেরত দিয়ে কথা রাখল। তবে একমাসের মধ্যে ফেরত দিয়ে যাওয়ার কথা দিয়ে, চিঠি লিখে জানিয়ে গেলেও চুরি করার ৩ দিনের মাথাতেই সেই চোর কলপুকুর পাড়ের বাসিন্দা পেশায় লটারী বিক্রেতা সজন মিঞার গোয়ালঘরে রেখে দিয়ে গেল। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গোটা ভাতাড় এলাকায়।

রবিবার ভাতাড় থানায় এসে মোবাইল চুরি নিয়ে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করেও নিলেন সজন মিঞা। এদিন তিনি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার ঘর থেকে চুরি যায় তার মোবাইল এবং মোবাইলের চার্জার। চোর তার মোবাইলের সিম দুটি খুলেও রেখে যায়। লিখে যায় একটি ইংরেজিতে চিঠিও। তাতে সে লেখে, টেনশন নেবার কিছু নেই, একমাসের মধ্যে সজন মিঞার ফোনকে ঠিকঠাকভাবেই সে ফেরত দিয়ে যাবে। আসলে সেই বিখ্যাত চোরের ভীষণ প্রয়োজন ছিল ফোনটি। তা সে চিঠিতেও জানিয়ে যায়। অদ্ভুতুরে এই মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে রীতিমত কৌতূহল সৃষ্টি হয় গোটা ভাতাড় জুড়ে। পুলিশ তদন্তেও নামে। কিন্তু পুলিশ চোর আর মোবাইল উদ্ধারের আগেই শনিবার রাতে চোর মোবাইল আর চার্জারটি সজন মিঞার গোয়ালঘরে রেখে যায়। রবিবার সকালে সজন মিঞার মা দানা বিবি গোয়ালঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখতে পান মোবাইলটি। হারানো সাধের মোবাইল ফিরে পেয়ে খুশী সজন মিঞা। এরপরই তিনি ভাতাড় থানায় গিয়ে তাঁর দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। সজন মিঞার কাছে এখনও এই চুরির রহস্য রহস্যই থেকে গেছে।

Like Us On Facebook