তিনশো তাল গাছের চারা বপন করে সবুজের অভিযান শুরু করলো বর্ধমান ওয়েভ। সোমবার বিকেলে হাটগোবিন্দপুরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হল ‘রূপসী বাংলার বিলুপ্তপ্রায় গাছ প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়ার’ কাজ৷ এদিন হাটগোবিন্দপুরে এই প্রকল্পের সূচনা হল। করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্ত, জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম ও মেহবুব মণ্ডল, গাছ-মাস্টার অরূপ চৌধুরী, শিক্ষক জয়ন্ত বিশ্বাস সহ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসীরা।
এদিন এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনশো তাল-আঁটি বপণ করা হয়। তালগাছের নানা উপকারিতা আছে, এই গাছের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কাজে লাগে। ভূমিক্ষয় রোধ করে। আগামীদিনে কূল, খেজুর বা এইধরণের গাছ প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়ার ভাবনা আছে ওয়েভ-এর। বর্ধমান ওয়েভ একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর আগে কোভিড সংক্রমণের সময়েও নানা কাজ তারা করেছে। এদিনের অনুষ্ঠানে তাদের সহ-উদ্যোগী ছিল বর্ধমান ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রকৃতি ও পশুপ্রেমী সংঘ।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমরা সবাই বৃক্ষ রোপণের সময় অন্য গাছের কথা ভাবি। কিন্তু কেউ হারিয়ে যাওয়া অবলুপ্ত তালগাছের কথা কেউ ভাবি না। তালগাছকে বড় করতে সেই অর্থে কোন খরচ হয় না, যত্নও করতে হয় না।’ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, ‘তালগাছ খুব উঁচু হয় সেই কারণে তালগাছে বাজ পড়ে। আর আশপাশের এলাকার ঘরবাড়ি রক্ষা পায়। তাই এলাকায় যতবেশি তালগাছ থাকবে ততই সেখানকার ঘরে বা লোকালয়ে বাজ পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাছাড়া তালগাছ ভূমিক্ষয় রোধ করে। ঝড় আটকায়। আর তালগাছের কোন কিছুই ফেলা যায় না। তালরস, মাড়ি সবই সুস্বাদু। তাই সকলেই এগিয়ে আসুন তালগাছ বপণ করুন।’