বাড়ির লোককে না জানিয়ে চুপিসারে একই পরিবারের ৫ শিশু কলকাতা ঘুরতে যাওয়ার নাম করে মালদহ থেকে কাটোয়ায় এসে পৌঁছায়। কাটোয়া আরপিএফের সন্দেহ হওয়ায় শিশুদের উদ্ধার করে সরকারি নিয়ম মেনে তাদের তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১০-১৪-এর মধ্যে।
বর্ধমান চাইল্ড লাইনের জেলা সংযোগকারী অভিজিত চৌবে জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ মালদহ জেলার পুকুরিয়া থানা এলাকার ২ নাবালিকা ও ৩ নাবালক একই পরিবারের ৫ জন বাড়ির কাউকে না জানিয়ে কলকাতা দেখতে যাওয়ার নাম করে ট্রেনে উঠে পড়ে। ট্রেনে ওঠার পর তারা ঘুমিয়ে যায়। এরপর প্রায় মাঝরাতে তারা ৫ জনই কাটোয়া স্টেশনে নেমে ইতঃস্তত ঘুরতে শুরু করে। সন্দেহ হওয়ায় আরপিএফ জওয়ানরা তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তারা কলকাতার ট্রাম, ট্রেন সহ একাধিক জায়গা দেখতে বেড়িয়েছে। মোবাইল ফোনে কলকাতার এই সমস্ত দর্শনীয় জায়গা দেখেই তাদের কলকাতা ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হয়। যেহেতু বাড়ির অভিভাবকরা তাদের যেতে দেবে না, তাই এই ৫জন খুড়তুতো, জেঠতুতো ভাইবোনেরা নিজেরাই যুক্তি করে বুধবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ট্রেনে চেপে পড়ে মালদহ স্টেশনে। আচমকাই ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তারা কাটোয়ায় নেমে পড়ে মাঝরাতে। কিন্তু এরপর কি করবে তা বুঝে উঠতে না পেরেই তারা কাটোয়া স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে থাকে। সেই সময় আরপিএফ তাদের আটকায়। এরপর রাতেই বর্ধমানের চাইল্ড লাইনকে খবর দেয় আরপিএফ। চাইল্ড লাইন শিশুদের উদ্ধার করার পাশাপাশি মালদহের পুকুরিয়া থানায় খবর দেয়। শিশুদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় শিশুদের বাড়িতেও। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে শিশুদের পরিবারের লোকজন বর্ধমানে আসে। বর্ধমানের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির পক্ষ থেকে শিশুদের তাদের বাড়ির লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আগামী ৫ জুন শিশুদের মালদহ জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পেশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।