বর্ধমান পুরসভার ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডের সীমানা বরাবর এমন জায়গায় রয়েছেন বিদ্রোহী কবি যে তাঁর দেখভাল কে করবেন তা নিয়েই প্রশ্ন রয়ে গেছে। গতবছরের শুকনো মালা আজও কবির গলা থেকে ছিঁড়ে বেড়িয়ে যায়নি। বর্ধমান পুরসভার পুরপতি ডা. স্বরূপ দত্ত বিষয়টি জানতে পেরেই দ্রুত ব্যবস্থাও নিতে কসুর করলেন না।
রাত পোহালেই বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ১১৮ তম জন্মদিন। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের মনীষীদের জন্মদিন, মৃত্যুদিনকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করার নির্দেশ জারী হয়েছে। গোটা রাজ্যে সমস্ত গ্রন্থাগারগুলিতে এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কবির সেই জন্মদিনের ২৪ ঘণ্টা আগেও একেবারেই অপরিচ্ছন্ন হয়ে রইল গোটা এলাকা। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অসংখ্য মদের বোতল, গ্লাস, আবর্জনার স্তূপ। গতবছর যে কবির গলায় মালা দেওয়া হয়েছিল তার চিহ্ন এদিনও বর্তমান। শুকনো মালা আজও কবির গলা থেকে ছিঁড়ে বেড়িয়ে যায়নি। স্থান – বর্ধমান শহরের জেলখানা মোড়। বর্ধমান পুরসভার পাশে অদূরেই রয়েছে এই আবক্ষ নজরুল মূর্তি। রয়েছে সেই মূর্তির চারপাশে ব্যারিকেড। আজ যেটা বিজ্ঞাপনের আর্দশ জায়গা।
উল্লেখ্য, এদিন সকালেই সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর দ্রুত এই এলাকা পরিষ্কার করা, সমস্ত হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন পুরপতি। তিনি জানিয়েছেন, কবিমূর্তি এলাকায় আলোরও ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান পুরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সেলিম খান জানিয়েছে্ন, বর্ধমান পুরসভার উদ্যোগে এই নজরুল পার্কটি তৈরী করা হয়েছিল। কিন্তু রাত্রের অন্ধকারে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং হোর্ডিং সরিয়ে দেবার বিষয়ে তিনি পুর কর্তৃপক্ষকে অনেকবারই জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পার্কটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।