বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন নতুন রেলওয়ে ওভারব্রিজের ওপর দিয়ে দিনের বেলা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল, আপাতত দিনে তিন ঘন্টা অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ওই ব্রিজের উপর দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে। সম্প্রতি এই ব্রিজের ওপর দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যা নিয়ে ব্যবসায়ী মহল তীব্র ক্ষতির মুখে পড়েন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এব্যাপারে তাঁরা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে গোটা সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার জেলাশাসক বৈঠকে বসেন বর্ধমানের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতৃত্বদের সঙ্গে।
এদিনের বৈঠকে ব্যবসায়ী মহল তাঁদের অসুবিধার কথা তুলে ধরেন জেলাশাসকের কাছে। বৈঠকে উভয়পক্ষের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। এদিন এই বৈঠকে হাজির থাকা সিঅ্যাণ্ডএফ এজেণ্ট সংগঠনের নেতা অচিন্ত্য মণ্ডল জানিয়েছেন, আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেবলমাত্রে রাতেই নো এন্ট্রি তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরফলে রাতে পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করলেও তাঁদের কোনো সুরাহা হচ্ছিল না। এমনকি তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। তাই তাঁরা জেলাপ্রশাসনকে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার আবেদন জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন জেলাশাসক সাময়িকভাবে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত নো এন্ট্রি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। কিছুদিন এটা দেখার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন।
অন্যদিকে, শ্রমিক সংগঠনের নেতা নুরুল আলম জানিয়েছেন, রেলওয়ে ওভারব্রিজে দিনের বেলায় নো এন্ট্রি লাগু করায় বিশেষত শ্রমিকরা কাজ হারানোর মুখে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের সিংহভাগ কারখানা ও বড় বড় ব্যবসাগুলি রয়েছে বাজেপ্রতাপপুর এলাকায়। কমবেশি এই সমস্ত জায়গায় ৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু দিনের বেলায় গাড়ি ঢুকতে না দেওয়ায় তাঁরা রোজগার হারাতে বসেন। অবশেষে তাঁদের আবেদন মেনে প্রশাসন দুপুরের দিকে ৩ ঘণ্টা নো এন্ট্রি তুলে নেওয়ায় কিছুটা সুরাহা মিলবে। অন্যদিকে, জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, এদিন আলোচনার পর সাময়িকভাবে নো এন্ট্রি কিছু সময়ের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা এখন পর্যবেক্ষণ করে দেখার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।