পূর্ব বর্ধমান জেলায় এবং বিশেষত বর্ধমান পুর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতহারে বাড়ার ঘটনায় বুধবার থেকে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করল জেলা প্রশাসন। গোটা জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫০০। এরমধ্যে কেবলমাত্র মঙ্গলবারই আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। যার মধ্যে বর্ধমান পুর এলাকাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। গোটা জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এদিকে, এরই পাশাপাশি মেমারি থানার পালসিট পুলিশ ক্যাম্পের ৪জন পুলিশ কর্মী এবং ২জন সিভিক ভলাণ্টিয়ার এবং একজন পুলিশের গাড়ির চালকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ মহলে রীতিমত উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের ঘটনা বাড়তে থাকায় সোমবার রাতেই পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। নির্দেশিকা অনুসারে আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত বর্ধমান পুর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডের সমস্ত স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বাজার, মার্কেট সহ দোকান খোলা বন্ধের জন্যও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সমস্ত জমায়েতকেই বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
যদিও জেলাশাসকের এই নির্দেশিকাকে ঘিরে কিছুক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি স্কুলেই মিড-ডে মিলের খাবার দেওয়া শুরু হতে চলেছে বুধবার থেকেই। একইসঙ্গে নতুন ছাত্রছাত্রী যাঁরা একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠেছে তাঁদেরও ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। চলছে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও। যে প্রক্রিয়াকে আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা বোর্ড। ফলে ৩৫টি ওয়ার্ডেই সমস্ত স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার এই নির্দেশ নিয়ে রীতিমত ধন্দ্বে পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এব্যাপারে এদিন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) হুমায়ুন বিশ্বাস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনি নির্দেশিকা দেখেননি। তাই এব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। অন্যদিকে, বাজার বা দোকান খোলা নিয়েও যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তারই পাশাপাশি বর্ধমান শহরের বিসি রোডের দুপাশের দোকানগুলিকে একদিন অন্তর পর্যায়ক্রমে খোলার নির্দেশও জারি করা হয়েছে।