বিয়ের পরের দিনই নবদম্পতি, বরযাত্রী সহ পরিবারের অনেকে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন। বিয়ে উপলক্ষে পারিবারিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রক্তদান শিবির, চক্ষুদান এবং অনাথ শিশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন নবদম্পতি। রণডিহার শালডাঙ্গার এই নবদম্পতি সহ বিয়ে বাড়ির লোকজনের এহেন মানবিক সিদ্ধান্তে সুশীল সমাজ তাঁদের কুর্নিশ জানায়।

জানা গেছে, শালডাঙ্গার বাসিন্দা মুর্শিদাবাদে কর্মরত পশু স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী প্রসেনজিৎ কোনারের সঙ্গে সোমবার রাতে রানীগঞ্জের স্কুল শিক্ষিকা অনন্যা পালের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বুধবার বৌভাতের অনুষ্ঠান। তার আগে মঙ্গলবার নববধূকে নিয়ে বাড়িতে ঢোকার আগেই প্রসেনজিৎ কোনার সস্ত্রীক দেহদানের অঙ্গীকার করেন। কেবলমাত্র প্রসেনজিৎ কোনারই নন গোটা বিয়ে বাড়ির দু’পক্ষের লোকজনই কেউ চক্ষুদান করেন, কেউ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন এবং অনেকে দেহদানের অঙ্গীকার করেন। করোনা আবহে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই প্রসেনজিৎ কোনার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

Like Us On Facebook