একটি পথে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুকে পানাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি না নেওয়ার আভিযোগ উঠল। সোমবার পানাগড়ের কাছে ত্রিলোকচন্দ্রপুর বাস স্টান্ডের কাছে রাস্তার ধারে সাত সকালে স্থানীয় মানুষজন একটি সদ্যজাত ফুটফুটে শিশুকে পড়ে থাকা অবস্থায় কাঁদতে দেখেন। স্থানীয় মানুষ শিশুটিকে উদ্ধার করে পানাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে নিয়মের জাল দেখিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা শিশুটিকে ভর্তি নিতে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আস্বীকার করেন বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। এর পরই ক্ষুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা কাঁকসার বিডিওকে বিষয়টি জানালে বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে ব্লকের স্বাস্থ্য অধিকারিকের নির্দেশে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা শিশুটিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এর পর বিডিও কাঁকসা থানার পুলিশ পাঠিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করেন বলে জানা যায়।

কাঁকসার বিডিও আরবিন্দ বিশ্বাস বর্ধমান ডট কমকে সদ্যজাত শিশুটিকে পানাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রথমে স্থানীয়দের কথায় চিকিৎসা না দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সোমবার ত্রিলোকচন্দ্রপুর বাস স্টান্ডের কাছে একটি শিশুকে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার করে পানাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা শিশুটিকে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন। পরে আমি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে শিশুটিকে পানাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাই।’ বর্তমানে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস।

রাস্তার ধার থেকে সদ্যজাত শিশু উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাঁকসা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে শিশুটি এই ভাবে কে বা কারা রাস্তার ধারে ফেল গেল এই নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কাঁকসা থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে পানাগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধেও নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকায়।

Like Us On Facebook