সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির ভ্রাম্যমাণ শিবির পরিদর্শন করলেন সভাধিপতি, জেলাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার বর্ধমান ১ ব্লকের বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাগুপুরে এই ভ্রাম্যমান ধান্য ক্রয় শিবির আয়োজিত হয়।
বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহানারা খাতুন জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কৃষকদের প্রায় বাড়ির কাছে পৌঁছে ভ্রাম্যমান শিবির করে তাঁদের ধান সরকারি সহায়ক মূল্যে ক্রয় করা হচ্ছে। এই শিবিরে কৃষকদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যোগ সার্থক। এদিন এই পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মন্ডল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, বর্ধমান ১ ব্লকের বিডিও অভিরূপ ভট্টাচার্য্য, জেলা খাদ্য নিয়ামক অসীম নন্দী সহ খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের একাধিক আধিকারিক।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত গলসি-১, গলসি-২ , আউসগ্রাম-১, বর্ধমান-১ এবং মেমারি-২ এই পাঁচটি ব্লকে সহায়ক মূল্যে ভ্রাম্যমাণ ধান্য ক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চালু থাকবে এই ভ্রাম্যমাণ শিবিরগুলি। প্রতি ব্লকে ৫ দিনে ৫ টি জায়গায় কৃষকদের ধান বিক্রির জন্য চালু থাকবে এই ভ্রাম্যমাণ সিপিসি। কিছু দিনের মধ্যেই আরও ৩ টি ভ্রাম্যমাণ সিপিসি চালু হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৯ হাজার ১৩ জন কৃষকের কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলার ৪৩ টি সিপিসি, ৫ টি মোবাইল সিপিসি, ১০১ টি কো-অপরাটিভ সোসাইটি, ৭০ টি সেলফ হেল্প গ্রুপ এবং ২৫ টি এফপিসি ও এফপিও-তে এসে কৃষকরা এই ধান বিক্রি করে গেছেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা।