সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষের স্বার্থে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জানাতে জেলায় প্রথম একদিনের সংখ্যালঘু সচেতনতা শিবির ও মেলা অনুষ্ঠিত হল পূর্ব বর্ধমানের নেড়োদিঘি ভোতার পাড় এলাকার মাঠে। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। হাজির ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, স্থানীয় বিধায়ক নিশীথ মালিক সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী প্রমুখ।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রায় ১৬টি স্টল দেওয়া হয়েছে এই মেলায়। মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এদিনও স্বপন দেবনাথ রাজ্য সরকারের তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন সেগুলিকে একেবারে নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন রাখেন। এদিন পরিসংখ্যান উল্লেখ করে স্বপনবাবু জানান,গত ৮ বছরে কেবলমাত্র বর্ধমান জেলায় শিক্ষার উন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ খাতে ৯ লক্ষ ৬১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বনির্ভর প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে। ৩২৫টি কবরস্থানে প্রাচীর দেওয়ার জন্য ৪৩.৯৫ কোটি টাকা এবং গ্রামে গ্রামে সভা করার জন্য ৬০.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও গত ৫ বছের ৩০টি কর্মতীর্থ তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশই চালুর পথে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন স্বপনবাবু জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন কর্মতীর্থের ঘরে ধানের বস্তা মজুদ করা হচ্ছে। তিনি এদিন সাফ জানান, এজন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় কর্মতীর্থ তৈরী করেননি। এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, বেশ কিছু সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেল তৈরি করা হলেও সেখানে কারা কারা কাজ পাবেন তা নিয়ে খেয়োখেয়ির জেরে চালু করা যাচ্ছে না হস্টেলগুলি। এব্যাপারে দলীয় কর্মীদের সতর্কও করেন স্বপনবাবু। এদিন বেশ কিছু উপভোক্তাদের হাতে সরকারি বিভিন্ন সুবিধাও তুলে দেওয়া হয়।