লকডাউনের সময় পড়ুয়ার অভিভাবকদের মিড-ডে মিল বিলি করা হয়েছিল। এ বার গরমের ছুটির মধ্যেও মিড-ডে মিল বিলি করার নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিলের প্রকল্প অধিকর্তা। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, গরমের ছুটির মধ্যে এর আগে মিড-ডে মিল বিলি করা হয়নি। যা এক প্রকার ব্যাতিক্রমী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই নির্দেশে জানানো হয়েছে, পড়ুয়া পিছু দু’কিলো চাল, দু’কিলো আলু, ২৫০ গ্রাম চিনি, ২৫০ গ্রাম ডাল ও একটি করে ১০ টাকা দামের সাবান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মে মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে স্কুলগুলিকে মিড-ডে মিলের সব ব্যবস্থা শেষ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, চাল ছাড়া সব সামগ্রীই স্থানীয় ভাবে কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিড-ডে মিলের চাল সরকারিভাবে দেওয়া হয়। অনেক স্কুলের শিক্ষকরা এ দিনই দাবি করেছেন, তাঁদের ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত চাল নেই, আবার আলুর দাম ঊর্দ্ধমুখী। অতিমারির সময়ে আলু কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরা। বরাদ্দের চেয়ে খোলা বাজারে দাম বেশি থাকা আবার পর্যাপ্ত আলুর যোগান নিয়েও স্কুলগুলিকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। সে জন্যে খোলা বাজারের দাম দেখে আলু কেনার টাকা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এ দিকে প্রশাসনের দাবি, স্কুলগুলিকে বাড়তি চাল দিয়ে দেওয়া হবে, আবার আলুর দাম কত জানতে চেয়ে কৃষি বিপণন দফতরকে চিঠি করেছেন ওসি (মিড-ডে মিল) মৌলি সান্যাল। দফতরের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামই আলু কেনার জন্যে স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। চিনি, ডাল কেনার বরাদ্দ সরাসরি স্কুলগুলিকে দেবে মিড-ডে মিল দফতর। তবে সাবান কেনার বরাদ্দ নিজেদের হাতেই রাখবে জেলা প্রশাসন। কেন? মিড-ডে মিল দফতরের দাবি, জেলায় মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয় এমন স্কুল রয়েছে ৪৭১১টি। অতিমারির সময় সাবান কেনা নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দিয়েছিল। এক-একটি স্কুল এক-একটি সংস্থার সাবান কিনে পড়ুয়াদের মধ্যে দেওয়ায় স্থানীয় ভাবে বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছিল। সেই বিভ্রান্তি যাতে না হয়, সে জন্যেই জেলা থেকে সাবান কিনে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওসি (মিড-ডে মিল) মৌলি সান্যাল বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি স্কুলে সামগ্রী পৌঁছে যাবে। করোনা বিধি মেনেই স্কুলগুলিকে মিড-ডে মিল বিলি করতে হবে।’ জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘সাধারণত গরমের ছুটি ৪৫ দিন ধরে হয় না। সে জন্যেই ব্যতিক্রমী হিসেবে অতিমারির সময়ের মতো মিড-ডে মিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।’