বৃহস্পতিবার এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে জেলার তথাকথিত নামী স্কুলগুলির ফলাফল রীতিমত নিরাশ করল ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকদের। যদিও ধারাবাহিকভাবে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল এবং বর্ধমানের বিদ্যার্থী ভবন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় তাদের সাফল্যকে ধরে রেখেছে। এবছর বিদ্যার্থী ভবন স্কুল থেকে ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী ৬৮৬ পেয়ে অষ্টম স্থান এবং সম্পূর্ণা তা ৬৮৪ পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য ৬৮৬ পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে।
জেলায় এবার সেরা হয়েছে রাজ্যে ৫ম স্থান অধিকারী পূর্বস্থলীর পারুলডাঙা নসরৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ বসাক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। এছাড়াও রাজ্যে ৬৮৪ পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনষ্টিটিউশনের ছাত্র অনিশ কোনার, মেমারির সুলতানপুর তুলসীদাস বিদ্যামন্দিরের মৌর্য্য পাল এবং পূর্বস্থলীর পারুলডাঙা নসরৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ণব বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃতীয় স্থানাধিকার করেছে নৈঋত রঞ্জন পাল, দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে। তার বাড়ি বর্ধমানের নতুনগঞ্জের ধোকড়া শহীদ এলাকায়। এদিন বিদ্যার্থী স্কুলের ছাত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী জানিয়েছে, বাঁধাধরা নিয়ম করে প্রথম দিকে পড়াশোনা না করলেও টেস্টের পর ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। ভাল লাগে পদার্থবিজ্ঞানকে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তার। পড়াশোনার ফাঁকে গোয়েন্দা গল্পে রয়েছে তার আসক্তি। ভাল এই ফলের জন্য তা সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে চায় বাবা ও মাকেই। অন্যদিকে, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা সে পড়াশোনা করেছে। ছিল ৭জন গৃহ শিক্ষক। তার এই সাফল্যের পিছনে মা দীপা ভট্টাচার্য্যের অবদান সবথেকে বেশি। ভাল লাগে সত্যজিত রায়ের গল্প বই পড়তে। বাবা একজন দাঁতের ডাক্তার। তাই ভবিষ্যতে তারও স্বপ্ন একজন সফল চিকিৎসক হওয়ার।