বৃহস্পতিবার গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা ৪, আহত ১। ভাতাড়ের বেলেণ্ডা গ্রামে বজ্রাঘাতে মারা গেলেন মনসুর আলি সেখ (৩৫)। মৃতের বাবা আসগর আলি জানিয়েছেন, তিনি ছেলেকে নিয়ে মাঠ থেকে গরুর গাড়িতে ধান চাপিয়ে নিয়ে আসছিলেন। দূরে মেঘ ডাকার আওয়াজ পাচ্ছিলেন। মাঠ থেকে কিছুটা আসার পর আচমকাই যেন মনে হলে তাঁদের মাথার উপর বজ্রপাত হল। তা সত্ত্বেও দু’পা এগোতে না এগোতেই পিছন দিকে তাকিয়ে দেখেন মনসুর উলটে পড়ে গেছে। ছুটে গিয়ে দেখি তার কোনো সাড়াশব্দ নেই। আসগর আলি জানিয়েছেন, মনসুরের শুক্রবার বেঙ্গালুরু চলে যাওয়ার কথা ছিল। তাই ধান কেটে ঘরে ঢুকিয়ে দেবে বলেছিল। আসগরবাবু জানিয়েছেন, তিন ২ বিঘে জমিতে চাষ করেছিল। ১ বিঘের মত ধান কেটে ঘরে ঢোকাতে পেরেছিলেন। তারই মাঝে এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
অন্যদিকে, কালনা মহকুমাতেও বজ্রাঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম খোকন সেখ (৪০)। বাড়ি কালনা ১ ব্লকের কালিনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। এছাড়াও এদিন খণ্ডঘোষের তোড়কোনার বাসিন্দা বাসুদেব রায় (৫২)-এর মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এদিন মাঠ থেকে ধান কেটে তোলার কাজ করছিলেন বাসুদেববাবু। সেই সময় বজ্রাঘাতে তিনি জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও মঙ্গলকোটের জাঁহাপুর গ্রামের বাসিন্দা আপাল লোহারের (৪১) মৃত্যু হয়েছে এদিন বজ্রাঘাতে। এদিন বজ্রাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন বর্ধমান থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা মফুজা বেগম (৩৫)। তিনিও মাঠ থেকে ধান তোলার কাজ করছিলেন। বজ্রাঘাতে তিনি গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।