ফের বর্ধমান শহরে বাসে কেপমারির ঘটনা। গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বাসে মহিলা কেপমারের খপ্পরে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। সম্প্রতি কার্জন গেটে এভাবেই এক মহিলা এক শিশু সন্তান সহ ধরা পড়ে। আর এরপর বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠীর দিন কেপমারের খপ্পরে পড়লেন এক গৃহবধু। যদিও তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির জেরে তিনি ধরেও ফেলেন কেপমার মহিলাকে। উদ্ধার হয়েছে তাঁর নগদ টাকাও।
বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্দড়া এলাকার বাসিন্দা তরুলতা ঘোষ তাঁর স্বামী বিপিন ঘোষের সঙ্গে খণ্ডঘোষের পোলেমপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি আসছিলেন এদিন জামাইষষ্ঠী করতে। বাসে পোলেমপুর থেকে এসে তেলিপুকুরে নামেন তিনি। আর তারপরেই তাঁর সন্দেহ হয় এক মহিলাকে। এরপর তাঁকে ধরে রীতিমত লাঠিপেটা করতে থাকেন তরুলতা দেবী। এরপরই তাঁর ব্লাউজের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর খোওয়া যায় ৩ হাজার টাকা সহ মোট প্রায় ৮ হাজার টাকা। তরুলতাদেবী জানিয়েছেন, নান্দড়া যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। পোলেমপুরে বাসে চাপেন। তেলিপুকুরে নামার মুহূর্তে সাইড ব্যাগ খুলে পার্স তুলে নেয়। তেলিপুকুরে নেমেই ওই কেপমার মহিলা একটি টোটোয় চেপে পালানোর চেষ্টা করেন। ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন তিনি। এরপরই মারধোর করা হয়। পুলিশ আসে। তারপর সব টাকাই উদ্ধার হয় ওই মহিলার কাছ থেকে। তরুলতাদেবী জানিয়েছেন, শুধু তাঁর নয়, আরও অনেক লোকের টাকা চুরি করেছে ওই মহিলা। তাঁর ৩ হাজার টাকা নিয়েছিল ওই মহিলা। তরুলতাদেবী জানিয়েছেন, তিনি কোথায় নামবেন – এই কথা বলতে বলতে টাকার ব্যাগ তুলে নেয়। বাস থেকে নেমে ছুটে টোটায় চাপতে যায়। তখনই তিনি বুঝতে পারেন। তিনি জানিয়েছেন, টাকার ব্যাগটি সঙ্গে সঙ্গে হাত বদল হয়ে যায়। তিনি টাকার ব্যাগটি পাননি, টাকা পেয়েছেন। ওই দলে চারজন ছিল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর টাকা তিনি ফেরত পাওয়ার পর বাকি টাকা, ফোন, ব্যাগ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।