২৬৫ বছরে পদার্পণ করল কাঁকসার সিলামপুরের জয়দেবের কেন্দুলি মেলা। প্রতি বছর মহা ধুমধামে মেলার আয়োজন করা হলেও এ বছর করোনার জন্য নানান বিধি নিষেধ মেনে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার প্রবেশদ্বার থেকে পুরো মেলা চত্বরে করোনার বিধি-নিষেধ মেনে তবেই মেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে এমনই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে মেলা কমিটির পক্ষ থেকে। মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করার পাশাপাশি এবছর সকলকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে মাটির মডেল তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই মডেল তৈরি করে সাধারণ মানুষকে এই বার্তাই দিতে চান যে সকলকে মাস্ক পড়ার পাশাপাশি করোনাভাইরাসকে হারানোর জন্য ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। যারা এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেয়নি তাঁরা যেন ভ্যাকসিন নেন সেই বার্তাই তাঁরা দিয়েছেন মডেলের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, কবি জয়দেবের শিষ্য ছিলেন বাউল দাস। তিনি সাধনার জন্য কাঁকসার সিলামপুরে দামোদরের চড়ে এসে নিজের আস্তানা তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বেশ কিছু সাধুদের নিয়ে তৈরি করেন আখড়া। মকর সংক্রান্তির দিনে সকলেই মকর স্নান সেরে পুজো অর্চনা করতেন। এর পর প্রায় ২৬৫ বছর আগে সেই আখড়ায় বহু মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। একটি দুটি করে বসতে থাকে দোকান। যা বর্তমানে একটি বড় আকারের মেলায় পরিণত হয়েছে। তবে করোনার জন্য এবছর মেলায় তেমন মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেল না। এলাকার যে সমস্ত মানুষেরা ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁদের সকলকেই মাস্ক পরে তবেই মেলায় প্রবেশ করানো হয়।

Like Us On Facebook