স্ত্রী কন্যাকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করে তপন রুইদাস নামে এক ব্যক্তি কয়েক দিন আগে অন্ডালের কাজোড়াকে খবরের শিরোনামে তুলে এনেছিল। রবিবার তপনের আর এক পড়শি মদ্যপ অবস্থায় মেজাজ হারিয়ে মনু গুরু নামে ৭ বছরের এক শিশুর মাথায় বঁটি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির ঠাকুমা শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বাসন্তী গুরু নামের ওই মহিলাকেও মদ্যপ বঁটি দিয়ে গুরুতর আঘাত করে। সঙ্কটজনক অবস্থায় বাসন্তী গুরুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মদ্যপ ব্যক্তি বিনোদ বাউরিকে পড়শিরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পড়শিরা জানান়, মদ্যপ বিনোদ কয়েক দিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। শিশুটি রবিবার বিনোদের বাড়ির সামনে খেলার সময় হঠাৎ বিনোদ মেজাজ হারিয়ে শিশুটির মাথায় বঁটি দিয়ে আঘাত করে বসে। শিশুটির ঠাকুমা বাসন্তী গুরুকেও বঁটি দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বিনোদ। চেঁচামেচি শুনে পড়শিরা এসে বাসন্তী দেবীকে বাঁচিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে একই পাড়ায় পর পর দুটি খুনের ঘটনা ঘটায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।