শুক্রবার পান্ডবেশ্বরের নবগ্রাম এলাকায় এক মাছ চাষীর পুকুর পরিদর্শনে এলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র ‘সিফা’র ডিরেক্টর ড. সরোজ কুমার সাঁই সহ বিজ্ঞানীদের একটি দল। এলাকায় মাছ চাষের সাথে সাথে তাঁরা এলাকার মাছ চাষীদের সাথেও কথা বলেন। সিফার কল্যাণী শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক ড. পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী এলাকায় মাছ চাষীদের কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জৈব সার ও মাছের জন্য জৈব খাবার ব্যবহার করে কম সময়ে বেশি পরিমাণে মাছ চাষ করা যায় সেই সব বিষয় চাষীদের কাছে তুলে ধরেন। এছাড়াও এই এলাকায় পাবদা মাছ চাষের একটা সম্ভাবনা আছে। এলাকার চাষীদের পাবদা চাষের দিকে জোর দিতে বলেন। কারণ এই এলাকায় পাবদার ভালোই দাম পাওয়া যায়। পাবদা ছাড়াও জয়ন্তী রুই নামে এক উন্নত ধরনের রুই চাষের কথাও মাছ চাষীদের বলেন। তাছাড়াও উন্নত প্রজাতির কাৎলা, চিংড়ি প্রভৃতি মছ চাষে উৎসাহ দেন বৈজ্ঞানিকরা।

এলাকার মাছ চাষী তন্ময় ব্যানার্জী ও রিঙ্কু ব্যানার্জী অর্গানিক পদ্ধতিতে আধুনিক উপায়ে মাছ চাষ করে দৃষ্টান্ত রেখেছেন অন্যান্য চাষীদের কাছে। তন্ময়বাবুরা কম সময়ে তাঁদের পুকুরে পাবদা, উন্নত মানের রুই ও কাৎলা চাষ করেন। এটা দেখে স্বাভাতই খুশি সিফার ডিরেক্টর ও তাঁর সঙ্গে আসা বৈজ্ঞানিকরা। তাঁরা বলেন, ‘এই পুকুরগুলোতে যদি ঝিনুক পাওয়া যায় তাহলে মাছ চাষের সাথে সাথে মুক্তা চাষও লাভজনক হবে।’ সিফার তরফে চাষীদের মাছ চাষে উৎসাহ দিতে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে বলে জানান ডিরেক্টর ড. সরোজ কুমার সাঁই। তিনি এও জানান, তাঁর এই ধরণের পরিদর্শন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখানেই প্রথম।

Like Us On Facebook