পরিচারিকা থেকে বিধানসভার প্রার্থী। এই জায়গায় পৌঁছানোর আগে তিনি আক্ষরিক অর্থেই মানুষের পাশে থেকেছেন বারোমাস। প্রত্যয়ের সঙ্গে বলছেন ‘মানুষের জন্য কাজ করতে চাই’। জেতার ব্যাপারেও আশাবাদী। আউশগ্রামের বিজেপি প্রার্থী কলিতা মাঝি।
তীব্র দারিদ্রতার কারণে পড়াশোনা বেশিদূর করতে পারেননি। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়েছিল। বিয়ের পরেও দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। স্বামী কলমিস্ত্রী। তাতে সংসার চলে না। তাই আরও অর্থ উপার্জনের জন্য বত্রিশ বছরের গৃহবধূকে পরিচারিকার কাজ শুরু করতে হয়েছে। দৈনন্দিন এসব সংগ্রামের মাঝেই কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কলিতা মাঝি এবার নামছেন অন্য লড়াইয়ে। একুশের বিধানসভা ভোটে আউশগ্রাম থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তিনিই। গুসকরা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মাঝপাড়ার বাসিন্দা কলিতা মাঝি। গুসকরা শহরের তিনটি বাড়িতে ঠিকাচুক্তিতে পরিচারিকার কাজ করেন কলিতাদেবী। ভোরের আলো ফুটতেই কাজে বেড়িয়ে পড়েন। বাপের বাড়ি মঙ্গলকোটে। বাবা মধূসুদনবাবু মারা গিয়েছেন। ৭ বোন, এক ভাই তাঁরা। বাবা দিনমজুর ছিলেন।
কলিতাদেবী জানান, টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি। এই আপশোস সারা জীবন থাকবে। তবে ভোটে জিতলে আমি গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। নাম ঘোষণার পরেই বিজেপি প্রার্থী চলে আসেন স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের কর্মীরা। আগামী দেড় মাস তিনি প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। তাই যাদের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন, তাঁদের কাছে মাস দেড়েকের ছুটি চেয়ে নিয়েছেন কলিতাদেবী।