কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির অন্তর্গত বেশ কয়েকটি হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাল ইডি এবং ডিডি। বুধবার আসানসোলের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ডুবুরডি চেকপোস্ট এবং মাইথন রোডের উপর বেশ কয়েকটি ধাবা, হোটেল রেস্তোরাঁর হেঁসেলে স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঢুঁ মারেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ(ইডি) ও গোয়েন্দা বিভাগ(ডিডি)।
ভাগাড় কান্ডের পর রাজ্য জুড়ে হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে পরিবেশিত খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন৷ ভাগাড় কান্ডের পর মাংসের বিভিন্ন পদের চাহিদা কমে যাওয়ায় এই হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে মাংসের পদ সেভাবে না থাকলেও হেঁসেলের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ চোখে পড়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এদিন হোটেল রেস্তোরাঁগুলির মালিকদের এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে আসানসোল পুরসভার পক্ষ থেকে আসানসোলের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁতে অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ডুবুরডি চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিন শয়ে শয়ে ট্রাক চালক গাড়ি থামিয়ে খাওয়া দাওয়া সারেন। পাশাপাশি মাইথন রোডের হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে নিয়মিত পর্যটকরা আসেন। তাই এই এলাকার হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। বড় কোন অনিয়ম চোখে না পড়লেও অভিযানে অংশ নেওয়া আধিকারিকরা ধাবা, হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকদের খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্ক করেন এদিন।