হুগলি মহসিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের খাতা কে দেখেছেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিলেন হুগলি মহসিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী মৌসুমী বৈরাগী। আর মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ছাত্রছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে স্মারকলিপি দিয়ে উত্তরপত্র সঠিক মূল্যায়নের দাবি জানালেন। পাশাপাশি তাঁরা প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে এদিন উপাচার্য অধ্যাপক নিমাই সাহা জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা এদিন তাঁর কাছে খাতার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি এবং তারা প্রত্যাশিত নম্বর পায়নি বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা খাতা রিভিউ করার আবেদন জানিয়েছেন। এরপরই তিনি পরীক্ষা সমূহের নিয়ামককে বিশেষ অনুমোদন দিয়ে ওই ছাত্রছাত্রীদের রিভিউয়ের আবেদন গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন ছাত্রছাত্রীরা খাতায় পরীক্ষকের সই না থাকা বা খাতা দেখা হলে তাতে কোনো রকম আঁচড় না থাকা নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন, সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক নিমাই সাহা জানিয়েছেন, এরকম কোনো বিষয় ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে জানায়নি বা সেরকম কোনো খাতাও তাঁকে দেখায়নি।
উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হুগলির মহসিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের অনার্সের ছাত্রী মৌসুমী বৈরাগী সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছিলেন, গত ৭ মার্চ রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু তাদের ফলাফল রীতিমত হতাশাজনক হওয়ায় খোঁজ নিয়ে দেখেন শুধু তারই নয়, আরও কয়েকজনের রেজাল্ট অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। মৌসুমীর দাবি, ১০০-র মধ্যে তাদের দেওয়া হয়েছে ৮, ২১, ১৫ প্রভৃতি নাম্বার। এরপরই তারা তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। মৌসুমী জানিয়েছেন, ২১মে তাঁরা খাতা দেখার সুযোগ পান। সেখানেই তারা খাতা দেখে রীতিমত চমকে ওঠেন। কারণ বাস্তবে পরীক্ষার খাতার কোনো মূল্যায়নই করা হয়নি। এমনকি নিয়মানুযায়ী যে পরীক্ষক খাতা দেখেছেন তাঁর স্বাক্ষর থাকার কথা। কিন্তু খাতায় কোন পরীক্ষকের স্বাক্ষরই নেই। মৌসুমী জানিয়েছেন, এরপর তাঁরা ওই খাতাগুলি নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামকের দপ্তরে যান। কিন্তু কোনো সাহায্য পাননি। এমনকি হুগলি মহসিন কলেজ থেকেও তারা কোনো সাহায্য পাননি। বাধ্য হয়েই তাই তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।