আজ থেকে প্রায় এক বছর আগেও দীগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই জায়গাটি ছিল একটি স্তূপীকৃত জঙ্গল, উঁচু ঢিবি আর ভগ্নাবস্থায় থাকা একটা নির্মাণ। এই নির্মাণ কি এবং কে করেছিলেন তাও ছিল এলাকাবাসীর কাছে অজ্ঞাত। প্রায় বছর খানেক আগে এই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে আউশগ্রাম ১নং ব্লকের বিডিও চিত্তজিৎ বসুর। এরপর শুরু হয় গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর।

পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ১৭১০ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচাঁদ আউশগ্রামের এই দীগনগরের চাঁদনি এলাকায় তৈরি করেছিলেন জলটুঙ্গি। মনোরম চর্তুদিকে জল দিয়ে ঘেরা এবং মাঝে একটি স্মৃতিসৌধ। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গোটা এলাকা ছিল জঙ্গলে ঘেরা। স্মৃতিসৌধও ভেঙ্গে পড়ছিল। জেলাশাসক জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি দেখার পর ১০০দিনের প্রকল্পে গোটা এলাকাকে পরিষ্কার করা হয়। এরপর রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের স্বীকৃত এজেন্সী ওঙ্কার নাথ মুখার্জীর তত্ত্বাবধানে এই হেরিটেজ সৌধের সংস্কার শুরু হয়। একইসঙ্গে গোটা এলাকাকে ঘিরে তৈরি করা হচ্ছে পার্কও। হেরিটেজ এলাকায় থাকা এক বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি ক্লাবকে অন্যত্র পুর্নবাসন দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, বর্ধমানের বুকে পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন হতে চলেছে এই ঐতিহাসিক জলটুঙ্গি। জেলা পরিষদের উদ্যোগে পুনরায় এটি সংস্কার করার পর সোমবার ওই হেরিটেজ সৌধের উদ্বোধন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, বিডিও চিত্রজিৎ বসু, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা ও সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু। অন্যদিকে, খুশী এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁরাও জানিয়েছেন, এই এলাকায় বেড়াবার একটা ভাল জায়গা হল।



Like Us On Facebook