গলায় রজনীগন্ধার মালা, মাথায় মুকুট ,পরনে তসরের পাঞ্জাবী ও ধুতি একেবারে বিয়ের সাজে বর এসে হাজির থানায়। এ হেন বরমশাইকে থানায় এসে একটু ইতস্তত করতে দেখে কর্তব্যরত কনস্টেবল জিজ্ঞাসা করলেন কি ব্যাপার? বর জানালেন, বরযাত্রী সহ বিয়ে করতে এসেছি কিন্তু কনের ও কনের পরিবারের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না! কাটোয়ার বল্লভপাড়া ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পর কোন যোগাযোগ করতে না পেরেই অগত্যা থানায় আসা। কনের ও কনের পরিবারের খোঁজ না পাওয়ায় বিয়ে নয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেই বাড়ি ফিরতে হল বরকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানায় রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই বরের সাজে উপস্থিত হন বর। প্রথমের দিকে কিছুটা চমকে ওঠেন কাটোয়া থানার পুলিশকর্মীরা। পরে জানা যায় বর অর্থাৎ অভিযোগকারী নয়ন ঘোষের সাথে ছয় মাস আগে বন্ধুর বিয়েতে পরিচয় হয় বিউটি নামে এক যুবতির।এরপর ছয়মাস ধরে সামাজিক মাধ্যমে কথাবার্তা চলে। সম্পর্ক একটু গভীর হতেই নয়নের পরিবার বিয়ের কথাবার্তা বলেন বিউটির পরিবারের সাথে। তারপর বিউটির পরিবারের তরফে তাঁর মাসির বাড়ির ঠিকানা কাটোয়ায় আসতে বলা হয় নয়নদের। দুই পক্ষেরই সামনাসামনি দেখা না হওয়ায় ফোনেই বিয়ের দিন ঠিক হয়। ১৭ ডিসেম্বর বিয়ের কোন দিন না থাকলেও বিউটি বলে, আমার দাদুর বাৎসরিক কাজ শেষ হবে ১৬ তারিখে তাই ১৭ তারিখে বিয়ে হলে কোন অসুবিধা নেই।
সেইমতো নদীয়ার বাসিন্দা নয়ন ১৭ তারিখ রবিবার বরের বেশে বাড়িতে বিয়ের আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে বরযাত্রী নিয়ে গঙ্গা পেরিয়ে কাটোয়ায় আসেন। এবং বিউটির কথা মতো বল্লভপাড়া ঘাটে অপেক্ষা করতে থাকেন। অভিযোগ তারপর থেকেই বিউটি বা তাঁর পরিবারের সাথে আর কোন যোগাযোগ করা যায়নি।ফোনও বন্ধ। বেশ কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর অগত্যা বর বেশেই নয়ন হাজির হন কাটোয়া থানায়।
নয়ন ঘোষের বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, এই ঘটনার ফলে সামাজিকভাবে আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে তাই আমি থানার দ্বারস্থ হয়েছি।