গ্রামীণ পরিবহণে গতি আনতে দুর্গাপুরে চালু হয়েছিল গতিধারা প্রকল্প। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই প্রকল্পের গাড়িগুলি নির্দিষ্ট রুটে পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় চরম লোকসানে চলতে শুরু করে বলে অভিযোগ জানান গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি নেওয়া চালকরা। থমকে যাওয়া গতিধারা প্রকল্পের গাড়িগুলি দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনে নিযুক্ত ভোট কর্মী ও ইভিএম মেশিন যাতাযাতের জন্য নিয়োগ করল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। ভোটের কাজে অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে গতিধারা প্রকল্পের ১১টি গাড়ি ভোটের কাজে নিযুক্ত করল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন বলে জানা গেছে। শুক্রবার গাড়িগুলিকে ভোটের কাজের জন্য নেওয়া হয়। শনিবার ভোট কেন্দ্রে গাড়িগুলিকে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন থমকে যাওয়া সরকারি প্রকল্প গতিধারার গাড়িগুলি দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্য নেওয়ায় গাড়ির মালিকরাও খুশির কথা জানান। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরে বছর খানেক আগে মহা উৎসাহে শুরু হয় গতিধারা প্রকল্প। রাজ্য সরকার বেকার ছেলেদের স্বনির্ভর করতে ভর্তুকি দিয়ে গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি দেয়। বেকার ছেলেরাও টাকা জোগাড় করে গতি ধারার গাড়ি কিনে চালাতে থাকেন। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে মাঠে মারা যায় বেকারদের সব স্বপ্ন। নির্দিষ্ট করে দেওয়া রুটগুলিতে পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় গ্রাম থেকে শহর জুড়ে গতিধারা প্রকল্পের বেকারদের স্বনির্ভর করার পরিবর্তে লোকসান হয়ে যায়। ব্যাঙ্কের ইএমআই শোধ করতে না পারায় একটি গাড়ি টেনে নেয় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। বাকিদের মাথায় হাত পড়ে। চরম লোকসান হয় গাড়ি মালিকদের। দুর্গাপুরে থমকে যায় গতিধারার প্রকল্প। প্রচুর দৌড়াদৌড়ি করেও কোন পথ খুঁজে না পেয়ে গাড়ি চলা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর পর গতিধারা গাড়ি চালকরা মহকুমাশাসককে তাঁদের গাড়িগুলি নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের আনুরোধ জানান। মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা গতিধারার গাড়িগুলি পৌর নির্বাচনের কাজে লাগান।