গোরু মোষ আটক করে এখন বেকায়দায় পুলিশই। দু-চারটে হলে তাও না হয় কথা ছিল। লক আপে রাখা না হোক, অন্তত থানা চত্ত্বরে কোথাও বেঁধে খড় বিচালি খাওয়ানো যেত। কিন্তু এতো গরু মোষের পাল। গুণে এসে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেব দিল ২৫ টি মোষ, গরু ২০ টি। বিহারের চৌসা থেকে সেগুলি পাঠানো হচ্ছিল বাগজোলা, দমদম, ডানকুনির খাটালে। বৈধ কাগজ না থাকায় সেগুলি আটক করে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিস। নয় নয় করে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে এই গোরু মোষ। থানার বড়, মেজ বাবুরা অনেক মাথা চুলকে উপায় একটা বের করেছেন। থানা সংলগ্ন খেতুড়া মাঠে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে সেগুলিকে।
রাখার ব্যবস্থা হতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন কি ততক্ষণে নতুন প্রশ্ন এসে হাজির কর্তাদের সামনে। এই অবলা জীবেরা খাবে কি? আইপিসির বই খুলে আটক করা যেতেই পারে, কিন্তু অভুক্ত রাখার আইন নেই। এদিকে খরচও কম নয়। ভুষি আটশো টাকা বস্তা। দু বেলা খেতে দিলেও কমপক্ষে চার বস্তা ভুসি লাগবে। এর ওপর খড়, বিচালি খোল রয়েছে। সব মিলে দিনে কয়েক হাজারের ধাক্কা। বিচারাধীন বন্দিদের জন্য ডাল রুটির খরচ বরাদ্দ থাকলেও এক্ষেত্রে কিছু বলা আছে কিনা জানা নেই। সব মিলিয়ে যখন মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা ঠিক তখনই বয়স্ক এক কনস্টেবল বললেন, সবাই দুধ দেয় স্যার। ব্যস। সব সমস্যার সমাধান। হাঁক পারলেন ডিউটি অফিসার। কে আছিস, ওদের বলে দে দুধ বিক্রি করে খাবার কিনে নিতে। সেই পদ্ধতি মেনেই কাজ চলছে। কিন্তু সে দুধ কিনবে কে। চল্লিশ পঞ্চাশ কেজি করে দুধ হচ্ছে দু বেলা। কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কম দামে খাঁটি দুধ কিনছেন গ্রামবাসীরা। অনেক সময় আবার ক্রেতার অভাবে বিনা পয়সায় বিলিয়েও দিতে হচ্ছে।