চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অন্ডালে দ্বিতীয় ধসে আতঙ্কে এলাকার মানুষজন। রবিবার অন্ডালের কাজরা এরিয়ার মারোয়াড়ি কুঠি এলাকায় ধস নামে। সেই ধসের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফের ওই জায়গা থেকে কিছুটা দূরে ২০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে ধস দেখা দেয়। ধসের ফলে তৈরি হয় প্রকাণ্ড গর্ত। সোমবার সকালে মেষ পালকেরা লক্ষ্য করেন গতকালের ধস কবলিত এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই হয়েছে অনেকটা জায়গাজুড়ে আবার ধস। তাঁরাই স্থানীয়দের খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আরজেডি নেতা রাজকুমার পাসোয়ান। তিনি বলেন, ‘কয়লা অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ খনি গুলির একটা জাল রয়েছে প্রায় সমস্ত কয়লাঞ্চল জুড়ে। সুড়ঙ্গ করে সেগুলো থেকে কয়লা বের করে নেওয়ার পর সঠিকভাবে বালি প্যাকিং না করায় হচ্ছে এই ধস। এই ঘটনায় রাজকুমারবাবু সরাসরি ইসিএলের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর কার্শ জানান, ধস কবলিত এলাকার কিছুটা দূরেই রয়েছে খেলার মাঠ। স্থানীয় বাচ্চারা খেলাধুলা করে, মাঝেমধ্যেই তাদের খেলার বল ঝোপঝাড়ে চলে যায় সেগুলো আনতে তারা ওই জায়গাগুলোতে যায়। তাই অবিলম্বে ধস কবলিত এলাকাগুলি মাটি দিয়ে ভরাট না হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তিনিও এ ব্যাপারে ইসিএলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। তিনি জানান, ইসিএল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হলেও কোনরকম পদক্ষেপ নেয়নি এখনও পর্যন্ত। আর এই এলাকার মানুষ দেখেছে হরিশপুর ও জামবাদে ধসে ক্ষয়ক্ষতি। তাই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের।