ফুল-মালায় এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হল মৃত হনুমানের। মৃত হনুমান শেষকৃত্যের জন্য শনিবার সকাল থেকেই আয়োজনের খামতি ছিল না। এসেছিল হরিনামের দল। হরিনাম সংকীর্তন সহ মৃত হনুমানের দেহ নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণও করা হয়। এদিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত হনুমানের শেষকৃত্যকে ঘিরে সারাদিন ব্যস্ত থাকলেন গলসির গলিগ্রামের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গলসির গলিগ্রামে এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসা মাত্র একটি হনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীচে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে জল দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় পশু চিকিৎসককে। কিন্তু বাসিন্দাদের যাবতীয় প্রচেষ্টার মাঝেই হনুমানটির মৃত্যু হয়। এরপর গ্রামবাসীরা এক জোট হয়ে হনুমানটির যথাযোগ্য মর্যাদায় সৎকারের ব্যবস্থা করেন। ডাকা হয় নাম সংকীর্তনের দল। মৃত হনুমানের দেহ সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দেহের ওপর রাখা হয় ফুলের মালা। মাথার কাছে জ্বালানো হয় সুগন্ধি ধূপ। দেহটিকে ঘিরে শুরু হয় নাম সংকীর্তন। বেশ কিছুক্ষণ নামগানের পর শুরু হয় মৃত হনুমানের দেহ নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ। সেই শেষ যাত্রায় পা মেলান গ্রামের পুরুষ-মহিলারা। গ্রাম প্রদক্ষিণের পর একটি ফাঁকা জায়গায় হনুমানটিকে সমাধিস্থ করা হয়। সেই সমাধির উপর একটি মন্দির গড়ারও পরিকল্পনা নিয়েছেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের বাসিন্দাদের সভা ডাকা হয়েছে। হনুমান মন্দির গড়ার জন্য সভায় গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির সদস্যরাই হনুমান মন্দির তৈরির কাজের তদারক করবেন। গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে এর জন্য অর্থ সাহায্যের আবেদন রাখা হয়েছে। অনেকেই সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

Like Us On Facebook