বিজ্ঞাপণ দিয়ে বোতলে বন্দি ভূত বিক্রি করতে এসে বর্ধমান পুলিশের জালে চার প্রতারক। ধৃতদের নাম সুপ্রকাশ দে, জয়ন্ত ধারা, অরূপ দাস ও বিকাশ গিরি। ধৃতরা হুগলির শ্রীরামপুর ও ভদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
জানা গেছে, সুপ্রকাশ দে বাগুইআটির তাপস রায় চৌধুরীকে ফোন করে জানায় তার কাছে বোতলে বন্দি ভূত আছে। ১০ লাখ টাকা দিলে ভূত মিলবে। ভূত কিনতে চাইলে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানে আসতে বলে সুপ্রকাশ। এরপর তাপসবাবু ও তাঁর বন্ধু বাসুদেব কুন্ডু একটি গাড়িতে করে বর্ধমানে আসেন ভূত দেখতে। সুপ্রকাশ ও তার সঙ্গীরা তাপসবাবুদের বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়ায় একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে সুপ্রকাশ নিজেকে পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতারকরা একটি ঠান্ডা পানীয়ের ছোট বোতল দেখায়। যার মধ্যে একটি কয়েন রাখা ছিল। সেটি দেখিয়ে তারা বলে বোতলের মধ্যে ভূত আছে। টাকা দিলে তবেই ভূতের দেখা মিলবে। তাপসবাবুরা জানান তাদের কাছে টাকা নেই। টাকা দিয়ে যার ভূত কেনার কথা ছিল সে এসে পৌঁছায় নি। তখন প্রতারকরা তাদের অ্যাকাউন্টে তৎক্ষণাৎ ২০ হাজার টাকা জমা দিতে বলে, অন্যথায় খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর চার প্রতারক মিলে তাপসবাবু ও বাসুদেববাবুর কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। তাপসবাবু কোনভাবে তাদের আটকে রাখার কথা এক বন্ধুকে জানালে তিনি বর্ধমান থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলে গিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, ওই প্রতারকরা ভূত দেখানো ও বিক্রির নামে বহু মানুষকে ঠকিয়েছে।