বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরের ফার্মেসি বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্কে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে ছুটে পালাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পদপিষ্ট হলেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের অবজারভেশনে ভর্তিও করা হয়। আহতরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুর বেলায় ব্যাপক ভিড় ছিল হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগে। সেই সময় ফার্মেসি বিভাগের একটি ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ড থেকে আগুন বার হতে দেখা যায়। একইসঙ্গে ধোঁয়াও বার হতে থাকে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। যদিও তার আগেই হাসপাতালের কর্মীরা নিভিয়ে দেন আগুন। এই ঘটনায় আতঙ্কে সবাই ছুটোছুটি করতে শুরু করেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
মঙ্গলকোটের বাসিন্দা হাসনা বিবি জানিয়েছেন, এদিন তিনি তাঁর বাচ্চার ওষুধ নিতে এসেছিলেন। আচমকা ধোঁয়া ও আগুন দেখে তিনি ভীত হয়ে চলে যেতে গেলে পিছন থেকে ধাক্কা খেয়ে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। তার ওপরে দিয়েই কয়েকজন ছুটে চলে যান। তার হাতে থাকা ওষুধের প্রেসক্রিপসন, মোবাইল ফোন এবং টাকার ব্যাগ ছিটকে চলে যায়। যা তিনি উদ্ধার করতে পারেননি। ভিড়ের চাপে টাকা খোয়ানোয় এখন কিভাবে তিনি বাড়ি ফিরবেন বুঝতে পারছেন না। অন্যদিকে, মঙ্গলকোটের নবগ্রামের বাসিন্দা নেউল দাস এবং মমতা দাস উভয়েই এদিন হাসপাতালের আউটডোরে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। তাঁরাও পদপিষ্ট হন। তাঁদেরও খোয়া যায় হাতে থাকা ব্যাগ এবং কাগজপত্র। মমতা দাসের পায়ে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রায়নার বনগ্রামের কুলসোমা বেগম তিনিও পদপিষ্ট হন। তিনি এসেছিলেন ছেলে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় ওষুধ নিতে। ভিড়ের চাপে তিনিও পড়ে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের ফার্মাসি বিভাগে গিয়ে দেখা যায় গোটা এলাকা জুড়ে জুতোর স্তুপ। আতঙ্কে মানুষজন যে ছুটোছুটি করেছেন তার চিহ্ন পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ব্যাগ, হাসপাতালের কাগজপত্র প্রেসক্রিপসনও। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, হুড়োহুড়িতে কয়েকজনের গহনাও নাকি খোয়া গেছে।